এসএম হান্নান শাহ চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের হতভাগা মহিউদ্দিন তার বিবাহিতা স্ত্রীকে ফিরে পেতে ব্যাকুল। কিন্তু শ্বাশুর বাড়ির লোকজন তার স্ত্রীকে ফেরত না দিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাসহ নানা হয়রানী করার অভিযোগ উঠেছে। এমনকি তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক দুবাই পাঠানোর চক্রান্ত করছে বলে অভিযোগ এনেছেন স্বামী মহিউদ্দিন। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে চকরিয়া সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী করেছেন, উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া এলাকার আবু ছিদ্দিকের পুত্র মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। মহিউদ্দিন এক লিখিত অভিযোগে দাবী করেছেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে একই ইউনিয়নের দক্ষিণ ঘুনিয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের মেয়ে শিরোফা সোলতানা মারজান (১৯) এর সাথে বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। যার নোটারী রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার ৪১১৭/২০০১৯। একই দিন চট্টগ্রামের কাজী মোহাম্মদ আবদুর রহিমের অফিসে বই নং-এ, বালাম নং ১০/২০১৯ ও পৃষ্টা নং ১১/২০১৯ মূলে ৭ লাখ টাকার দেন মোহর ধার্য্য করে ইসলামী শরিয়ামতে আমাদের বিয়ে হয়। পরে আমরা উভয়ই একমাস সংসার জীবন অতিবাহিত করি। পরে আমার শ্বাশুর জসিম উদ্দিন ও শ্বাশুড়ি দিলদার বেগম তাদের মেয়েকে নিজ বাড়ি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আসে। পরদিন চকরিয়া থানার পুলিশ পাঠিয়ে আমরা স্বামী-স্ত্রী দু[জনকে থানায় নিয়ে আসে। এতে আমার স্ত্রী আমাকে নিরাপরাধ বলে পুলিশকে স্বীকার করায় পুলিশ আমাকে তৎক্ষনাত থানা থেকে ছেড়ে দেয়। এর পর শুরু হয় নানা ধরণের ষড়যন্ত্র। বর্তমানে আমাদের সুখের সংসার বিচ্ছিন্ন ও আমার স্ত্রীকে বাপের বাড়িতে আটকিয়ে রেখেএকের পর এক হয়রানী শুরু করেছে আমার শ্বাশুর- শ্বাশুড়ি। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।##