সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁ’ড়িতে রায়হান আহমদ হ’ত্যার ঘটনায় প্রধান অ’ভিযুক্ত পুলিশের বহিষ্কৃত উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ধরে আনায় ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পাচ্ছেন সিলেটের কানাইঘাটের রহিম উদ্দিন। সোমবার (৯ নভেম্বর) মধ্যরাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পেজে লাইভে এসে এ ঘোষণা দেন মো. জয়নাল আবেদীন। রহিম উদ্দিনকে এ পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের কানাডা প্রবাসী মো. জয়নাল আবেদীন জামিল। তিনি প্রবাসী শরীফগঞ্জ উন্নয়ন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক।
সিলেটের আলোচিত রায়হান হ’ত্যার প্রধান অ’ভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই আকবর হোসেনকে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে আ’টক করে স্থানীয়রা। তারপর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে ধরে নিয়ে আসেন রহিম উদ্দিন। রহিম উদ্দিন লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউপির ডোনা সীমান্ত এলাকার মৃ’ত তরফ আলীর ছেলে। আকবরকে খাসিয়াদের কাছ থেকে নিয়ে এসে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন তিনি। পুলিশ ফাঁ’ড়িতে নি’র্যাতনে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার রায়হান আহমদের মৃ’ত্যুর এক মাসের মাথায় গ্রে’প্তার করা হলো মূল অ’ভিযুক্ত ওই ফাঁ’ড়ির সাবেক ই’নচার্জ আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে। ভারতীয় খাসিয়া সম্প্রদা’য়ের লোকের হাতে আ’টক হওয়া আকবরকে রহিম উদ্দিন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এমন সংবাদ ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
সেই ভিডিও ফুটেজগুলো দেখে দেশ-বিদেশের সকলের কাছে রহিমউদ্দিন খুব প্রশংসা পাচ্ছেন। কানাডা প্রবাসী জয়নাল আবেদীনও সেইভাবে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাকে পুরস্কৃত করেছেন। এ সময় নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে জয়নাল আবেদীন বলেন, রহিম উদ্দিনকে এই অর্থ পুরস্কার দেয়ার উদ্দেশ্য হলো যাতে ভবি’ষ্যতে এমন সাহসী কাজে অন্য যুবকরা এগিয়ে আসে। এদিকে রহিম উদ্দিন অর্থ পুরস্কার ঘোষণার খবর জেনে আরটিভি নিউজকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি অর্থ পাব এমনটি ভেবে আকবরকে ধরে আনিনি। দেশ ও সমাজের কথা ভেবে একজন অ’পরাধীকে ধরে এনেছি। আকবর তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য ২০ লাখ টাকা দেয়ার অফার দিয়েছিল। কিন্তু তিনি সেই অফার প্রত্যাখ্যান করে পুলিশের কাছে তাকে তুলে দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর ভোরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁ’ড়িতে পুলিশের নি’র্যাতনের শি’কার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে তিনি মা’রা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃ’ত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কে’টে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর রাতে অ’জ্ঞাতনামাদের আ’সামি করে হেফাজতে মৃ’ত্যু আইনে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানায় মা’মলা করেন রায়হানের স্ত্রী। স্ত্রীর দা’য়ের করা মা’মলাটির ত’দন্ত করছে পিবিআই। এ ঘটনার পর পরই পা’লিয়ে যান আকবর হোসেন। বর্তমানে আকবর পিবিআই হেফাজতে ৭দিনের রি’মান্ডে রয়েছেন।