চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে যৌ’ন নি’র্যাতনের অ’ভিযোগে কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রেজওয়ান আলী খানসহ দুজনের বি’রুদ্ধে নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন আইনে মা’মলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার নারী ও শি’শু নি’র্যাতন দ’মন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর আ’দালতে ভু’ক্তভোগী সেই নারী বা’দী হয়ে মা’মলাটি দায়ের করেন। মা’মলার অপর আ’সামি হলেন, সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজে’লা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আহমেদ মুরাদ। এর আগে ভু’ক্তভোগী সেই নারীর জ’বানব’ন্দি গ্রহণ করেন আ’দালত। পরে ভাটারা থানাকে মা’মলার এজাহার গ্রহণ করার নির্দেশ দেন।
মা’মলার এজাহারে বলা হয়, আ’সামি শামীম আহমেদ মুরাদ ও রেজওয়ান আলী খান পরষ্পর একই দলভুক্ত ও একজোট। তারা নারী দেহলোভী, দুষ্ট, ল’ম্পট শ্রেণির লোক এবং নারীর দালাল ও শক্তিশালী চ’ক্র। মা’মলার বাদিনী স্বল্পশিক্ষিত বিধায় তিনি যোগ্যতা অনুযায়ী অফিস সহকারী হিসাবে কাজ করে আসছিলেন। বৈশ্বিক ম’হামা’রির কারণে এর আগের কাজে নিয়োগপ্রাপ্ত না হওয়ায় অর্থনৈতিক দৈনক’ষ্টে দিনযাপন করছিলেন। এর আগের কাজের সুবাদে বাদিনীর সঙ্গে মুরাদের পরিচয় হয়। গত ২৭ অক্টোবর বাদিনী চাকরির আশায় মুরাদের সাথে যোগাযোগ করেন। চাকরির দেয়ার আশা দিয়ে নারীকে রেজওয়ান তার অফিসে সাক্ষাৎ করতে বলেন।
এরপর বাদিনী কাজ পাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ১ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেই অফিসে যান। সেখানে তিনি মুরাদকে দেখতে পান। কিন্তু তার দেওয়া ঠিকানায় কোনো অফিস পাননি তিনি। ওই ঠিকানা একটি ফ্ল্যাট বাসার ছিল। এরপর মুরাদ তাকে বলেন, স্যার (রেজওয়ান) ভেতরের রুমে আছেন। এরপর বাদিনী রুমে প্রবেশ করামাত্রই কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই তার ও’পর দুই আ’সামি ঝাঁ’পিয়ে পড়েন এবং তার ও’পর পাশবিক ও যৌ’ন নি’র্যাতন চালান।