১৮ দিন ধরে নি’খোঁজ থা’কার পর অবশেষে গ্রে’ফতার হয়েছেন ধ’র্ম নিয়ে ক’টূ’ক্তিকারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহি’ষ্কৃত শিক্ষার্থী তিথি স’রকার। বুধবার রাতে তাকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিআইডির এএসপি (মিডিয়া) জিসানুল হক। তিথির এতদিন নি’খোঁজের বি’ষয়ে সিআইডির দাবি, গ্রে’ফতার এড়া’তেই তিথি স্বে’চ্ছায় আত্মগো’পনে চলে যান এবং বি’ষয়টি অ’পহরণ না’টক সাজি’য়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সিআ’ইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মলনে সংস্থাটির সাই’বার পুলিশ সেন্টারের ডিআ’ইজি জামিল আহমদ এ কথা বলেন।
ডিআইজি জামিল আহমদ বলেন, গত ২৫ অক্টোবর মিরপুরের পল্লবীর বাসা থেকে বেরিয়ে তিথি প্রেমিক শিপলু মল্লিকের সঙ্গে বাগেরহাটে গিয়ে বি’য়ে করেন। এরপর তারা ৯ নভেম্বর ঢাকায় ফিরে আসেন। পরে নরসিংদীর এক বাড়িতে আত্মগো’পন করেন। তিথি স’রকার আত্মগো’পনে থেকে অ’পহরণের নাট’ক সাজিয়েছিলেন। তার ধারণা ছিল এভাবে আত্মগো’পনে থেকে নি’জেকে লুকিয়ে অ’পহরণের দায়ভার অ’ন্যের ও’পর চা’পিয়ে ধ’র্মীয় অনু’ভূতিতে আ’ঘাত সংক্রান্ত ঘটনা থেকে রেহাই পাবেন বা ঘটনা অন্যদিকে ধাবিত হবে। গত অক্টোবরের শেষদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে বলা হয়- সিআইডির মালিবাগ কার্যালয়ের চারতলা থেকে তিথি স’রকারকে ‘হাত পা-বাঁ’ধা অবস্থায় উ’দ্ধার করা হয়েছে’।
সেই পোস্টটি মি’থ্যা ও সিআ’ইডিতে এরকম কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানান ডিআ’ইজি জামিল আহমদ। তিনি বলেন, এটি একটি গু’জব। ইতোমধ্যে নিরঞ্জ’ন বড়াল নামে গুজব র’টনাকারীকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রে’ফতার করা হয়েছে। নি’রঞ্জনসহ অ’জ্ঞাত আরও কয়েকজনের বি’রুদ্ধে গত ২ নভেম্বর পল্টন থানায় ডিজিটাল নি’রাপত্তা আইনে একটি মা’মলা করা হয়েছে। গত ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে তিথির ফে’সবুক পেজ থেকে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটূ’ক্তি করে স্ট্যাটাস দেয়া হয়। ৫ নভেম্বর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আ’দালতে তিথি স’রকারের বি’রুদ্ধে ডি’জিটাল নিরাপত্তা আইনে মা’মলা করেন আবু মুসা রিফাত নামের এক ব্যক্তি। এরপর থেকে নি’খোঁজ ছিলেন তিথি।
মা’মলায় অ’ভিযোগ করা হয়, জগন্না’থ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রা’ণিবিদ্যা বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শি’ক্ষার্থী তিথি স’রকার গত ১৬ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নি’জের ফেসবুক পেজ থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আ’ঘাত ও কটূক্তি করেছেন। অ’ভিযোগে আরও জানানো হয়, ইতোমধ্যে ধর্মী’য় অনুভূতিতে আ’ঘাত দেয়ার কারণে তি’থিকে তার সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদ থেকে সাময়িক বরখা’স্ত করা হয়েছে। একই অ’ভিযোগে গত ২৬ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রে’জিস্ট্রার স্বাক্ষরিত আদেশে তিথি স’রকারকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ব’হিষ্কার করা হয়।