রামুতে একদিনে দুস্কৃতিকারীদের আক্রমণের শিকার দুই বন্য হাতি। এরমধ্যে দক্ষিণ মিঠাছড়িতে আক্রমণের শিকার হওয়া হাতিটি মারা গেলেও জোয়ারিয়া নালার বনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আরেকটি বন্য হাতি।
বনবিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, রোববার (১৬ নভেম্বর) রামুর জোয়ারিয়া নালার গহীন বনে একটি গুলিবিদ্ধ হাতির সন্ধান পায় বনবিভাগ। সন্ধান পাওয়ার পর থেকে হাতিটির চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন রামু উপজেলা ভেটেনারী সার্জন ডা. জুলকার নায়েক।
বনবিভাগের ওই কর্মকর্তা জানান, কারা গুলি করেছে সেটি এখনো জানা যায়নি। হাতিটি বর্তমানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। চিকিৎসক এবং বনবিভাগের একটি টিম হাতিটিকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বেশি বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য জোয়ারিয়ানালা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তাকে একাধিক ফোন করলেও গহীন বনে অবস্থান করায় তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি। এদিকে একই দিন (রোববার ১৫ নভেম্বর) রামু দক্ষিণ মিঠাছড়ির ৪ নং ওয়ার্ডের আওতাধীন খরলিয়া ছড়ার শাইরার ঘোনা এলাকায় বনের পাশে মৃত পড়ে থাকা অবস্থায় একটি মৃত বন্য হাতির সন্ধান পায় বনবিভাগ। পরে সন্ধ্যায় রামু উপজেলা ভেটেনারী সার্জন ডা. জুলকার নায়েক ময়নাতদন্ত করে প্রাথমিকভাবে হাতিটির মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করেন। ভেটেনারী সার্জনের উদ্বৃতি দিয়ে বনবিভাগের দাবী, হাতিটিকে মারার জন্য ফাঁদ পাতা হয়েছিল। বৈদ্যুতিক শক লাগিয়ে হাতিকে হত্যা করা হয়। হাতির বাম পাশের একটি পায়ে গুলির চিহ্নও পাওয়া গেছে। হাতিটি উদ্ধারে নেতৃত্ব দেন দক্ষিণ বনবিভাগের পানেরছড়া রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান।
তিনি বলেন, মৃত হাতির বাম পাশের একটি পায়ে গুলি করা হয়েছে। সেখান থেকে রক্ত বের হতে দেখা গেছে। বৈদ্যুতিক শকও দেওয়া হয়েছে। হাতিটির মৃত্যুর কারণ বৈদ্যুতিক শক এবং গুলি।
তৌহিদুর রহমান বলেন, ময়নাতদন্তের পর হাতিটিকে মাটিতে পুতে ফেলা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে নুরুল হক নামে একজনকে আসামী করে অস্ত্র ও বন্যপ্রাণী আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হচ্ছে।