মো. শফি (২৬) ও তার স্ত্রী আসমা আক্তার (২২)। চট্টগ্রাম নগরীতে দুজন মিলেই করতেন ইয়াবা ব্যবসা। স্বামী অর্ডার নিতেন আর স্ত্রী দিতেন ডেলিভারি। আবার স্ত্রী যেখানে যাওয়া সম্ভব হতো না, সেখানে ইয়াবা পৌঁছে দিতেন স্বামী। এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে তাদের ব্যবসা চলছিল। তবে শেষ পর্যন্ত নগরীর বাকলিয়া থানা পুলিশের হাতে ধরা খেলেন স্ত্রী আসমা। প’লাতক রয়েছেন স্বামী। আসমার সঙ্গে আরো দুই সহযোগী আ’টক হয়েছেন। ছদ্মবেশে পুলিশ ইয়াবা কিনতে গেলে স্ত্রীকে দিয়ে পাঠান শফি। এ সময় দুই সহযোগী মোহাম্মদ তাহের ও মোহাম্মদ আলীসহ আসমা আক্তার আ’টক হন পুলিশের হাতে।
বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন জানান, শুক্রবার নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী ফোরকানকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে তাহের ও শফির সঙ্গে তার ব্যবসা রয়েছে বলে জানান। শনিবার ফোরকানের মুঠোফোন থেকে তাহেরকে ফোন করে এক হাজার ইয়াবার অর্ডার দেয়া হয়। পরে শফির স্ত্রী আসমা আক্তার ও মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে ইয়াবাসহ শাহ আমানত সংযোগ সড়কের সিলভার প্যালেস কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আসেন তাহের। এ সময় তাদের আ’টক করে পুলিশ।
আ’টক মোহাম্মদ তাহের ও মোহাম্মদ আলী কক্সবাজারের উখিয়া উপজে’লার রাজাপালং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুসের বাড়ির বাসিন্দা। আসমা আক্তার ও তার স্বামী শফির বাড়ি ভোলার চরফ্যাশনে। তারা চান্দগাঁও থানার এক কিলোমিটার এলাকায় ভাড়া থাকতেন। আ’টক তিনজন ও প’লাতক শফিসহ চারজনের বি’রুদ্ধে মা’দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মা’মলা হয়েছে। আ’টকদের আ’দালতের মাধ্যমে কা’রাগারে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিক জি’জ্ঞাসাবাদে আ’টকরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তারা নগরীতে ইয়াবা ব্যবসা করছিলেন। শফি ও তার স্ত্রী আসমা আক্তার ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত। ফোরকানের দেয়া অর্ডারমতো ইয়াবা সরবরাহ করতে শফি নিজের স্ত্রী আসমা আক্তারকে পাঠিয়েছিলেন। ১৩ নভেম্বর নতুন চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার ৪ নম্বর সড়কের হাজি শামসুল আলমের বিল্ডিং থেকে ফোরকান, মোবারক, রাসেল ও এক নারীকে আ’টক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রায় নয় লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১২টি চেক বই ও ২৩ হাজার ইয়াবা উ’দ্ধার করা হয়।