মহেশখালীতে দীর্ঘদিন দাবির অংশ হিসেবে স্থাপিত হচ্ছে আদিনাথ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এরই মধ্যদিয়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট আরেকধাপ এগিয়ে গেল। এ টাওয়ার থেকে পর্যটকের দৃষ্টিতে এক নজরেই ধরা পড়বে পুরো কক্সবাজারের অপরূপ শোভা। গতকাল বুধবার মহেশখালী তথা কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পের প্রসারে টিআর বরাদ্দ ও আর্থিক সহায়তায় দৃষ্টিনন্দন “আদিনাথ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার” এর নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেন।
জানা গেছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্ম গ্রন্থানুযায়ী হাজার বছর পূর্বে ত্রেতাযুগে প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রী আদিনাথ মন্দির ধর্মীয় ও ঐতিহাসিকভাবে যেমন গুরুত্বপূর্ণ তেমনি পর্যটনের দিক দিয়েও অপার সম্ভাবনাময় মহেশখালী। দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার পর্যটক প্রতিদিন বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ এই মহেশখালীতে বেড়াতে আসেন। ঘুরে যান মৈনাক পর্বতের চূড়ায় স্থাপিত এ তীর্থস্থান।
মহেশখালীকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তুলতে অনতিবিলম্বে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অক্ষত রেখে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক গড়ে তোলা হবে এবং কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প প্রসারে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন নিরলসভাবে কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন পরবর্তী টাওয়ার নির্মাণ কাজের ব্যয়ের চেক প্রদান করা হয়।
কক্সবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা বলেন, কক্সবাজার জেলার মাননীয় জেলা প্রশাসক কক্সবাজারে আসার পর থেকে কক্সবাজারকে আধুনিক পর্যটন নগরী গড়ে তোলার জন্য দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সকল ধর্মের মানুষের ধর্মীয় আচার অনুষ্টান পালনে সহযোগিতা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্যও প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। এধরণের একজন অভিভাবক পেয়ে আমরা ধন্য।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ব্রজ গোপাল ঘোষ বলেন, আমাদের মহেশখালীর হিন্দু সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি “আদিনাথ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার” এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হওয়ায় এবং আদিনাথ মন্দিরের পাশে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক করার ঘোষনা দেওয়ায় মাননীয় জেলা প্রশাসক মহোদয়কে মহেশখালীবাসী ও পূজা উদযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
“আদিনাথ পর্যবেক্ষণ টাওয়ার” এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহফুজুর রহমান, মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ব্রজ গোপাল ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক প্রণব কান্তি দে, ডাঃ রনজিত দে, ইউ.পি মেম্বার প্রকাশ কান্তি দে, মহিলা মেম্বার বকুল রাণী দে, মাস্টার শম্ভুনাথ দে, মাস্টার বাঁশিরাম দে, অধ্যাপক আশীষ চক্রবর্তী সহপ্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আদিনাথ মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ উপস্থিত ছিলেন।