টেকনাফের কক্সবাজার সড়ক ও উপসড়কে প্রতিনিয়ত ছিনতাই-ডাকাতি সংগঠিত হচ্ছে। এদের কারণে চাকরীজীবি ও যানবাহন চালকেরা চরম আতংকের মধ্যে রয়েছে। তাদের কঠোর হাতে দমন করে এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর নিয়মিত টহল জোরদারের দাবী জানিয়েছে ভূক্তভোগীরা।
ভূক্তভোগীরা জানায়,সাম্প্রতিককালে উপজেলার হোয়াইক্যং নয়াপাড়ার বটতলী,হাসাইন্যারটেক, নয়াবাজার ও মিয়নাবাজারের আভ্যন্তরীণ সড়ক,হ্নীলা চৌধুরী পাড়া রাস্তার মাথা, রঙ্গিখালী রাস্তার মাথা, আলীখালী পয়েন্টে যানবাহন থামিয়ে যাত্রীদের টাকা-পয়সা,মুঠোফোন লুট, যাত্রীদের মারধর ও যানবাহনের একাধিক ক্ষতি সাধনের ঘটনা ঘটেছে।
এই ব্যাপারে এক এনজিও কর্মী জানান,মাঝে-মধ্যে অফিসের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরতে আমাদের একটু বিলম্ব হয়। সন্ধ্যার পর পরই এসব পয়েন্টে সংঘবদ্ধ দূবৃর্ত্তরা ওঁৎপেতে থাকে। হঠাৎ করে তারা যানবাহনের গতিরোধ করে মারধর করতে থাকে এবং হাতে ও পকেটে যা থাকে তা নিয়ে সটকে পড়ে।
এক সিএনজি চালক বলেন, গত কিছুদিন ধরে সংঘবদ্ধ চক্র যানবাহন গতিরোধ করে যানবাহনে ভাংচুর চালায় ও লুটপাট করে। যা মোটেও কাম্য নয়। তা দমনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার।
চৌধুরী পাড়ার রাখাইনেরা জানান, প্রধান সড়কে ছিনতাই-যানবাহন ডাকাতি এবং শোরগোলে আমরাও উদ্বিগ্ন থাকি। তাদের দমন করা একান্ত প্রয়োজন।
হ্নীলা-হোয়াইক্যং সিএনজি সমিতির সভাপতি দিল মোহাম্মদ বলেন,শান্তিপূর্ণ টেকনাফের বিভিন্ন সড়কে এই ধরনের কর্মকান্ড খুবই দুঃখজনক। তা কঠোর হাতে দমনে পুলিশী টহল জোরদারের দাবী জানাচ্ছি।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার ওসি (অপারেশন) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন,শীঘ্রই এসব অপতৎপরতা দমনে পুলিশী টহল বৃদ্ধি করা হবে।