মধ্যপ্রাচ্যের কাতার হতে পারে প্রবাসিদের জন্য সহজ গন্তব্য। মাত্র ৩ লাখ কাতারিদের সর্বোচ্চ জীবন মান নিশ্চিত করতে দেশটিতে বসবাস করে ২৫ লাখ প্রবাসি। এরমধ্যে ভারতীয়রা সংখ্যায় এগিয়ে, ২য় স্থানেই বাংলাদেশ। কাজ অনুযায়ী শ্রমমজুরি আশানুরুপ হওয়ায় দেশে বেশি অর্থ পাঠাতে পারছেন প্রবাসিরা।
আর্থিকভাবে স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী হতে প্রতিদিনই মরুর বুকে ছুটে যাচ্ছেন বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের হাজারো মানুষ। তবে সাড়ে এগাড় হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের ছোট্ট দেশ কাতারে যাবার আগ্রহ বাড়ছে দিনকে দিন। পৃথিবীর শীর্ষ ধনী দেশ হওয়ায় বিভিন্ন পেশায় অর্থ উপার্জনের পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে কাতারে। এ কারণেই এখানকার প্রবাসিরা তুলনামূলক ভালো আছেন যাপিত জীবনে।
প্রবাসি বাংলাদেশি ব্যবসায়ী জালাল আহমেদ বলেন, এখানে পরিশ্রম করলে অনেক কিছুই করা যায়। আমি এখানে যখন প্রথম এসেছে তখন অনেক ধরনের কাজ করেছি। এখন আমি নিজে এখানে কয়েকটি ফ্যাক্টরি দিয়েছি।
সততা আর নিষ্ঠায় দোহার শিল্প এলাকায় গড়ে তুলেছেন গোল্ডেন মার্বেলের মতো স্বণামধণ্য প্রতিষ্ঠান। শীর্ষ রেমিট্যান্স পাঠানোর স্বীকৃতি স্বরূপ বাংলাদেশে মর্যাদা পেয়েছেন সিআইপির।
জালাল আহমেদ বলেন, দেশে যারা বিত্তবান আছেন আমি তাদেরকে অনুরোধ জানাবো আপনারা এসব দেশে বিনিয়োগ করতে পারেন। যাতে করে দেশে রেমিট্যান্স পাঠানোড় মাধ্যমে অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারেন।
জালাম আহমেদের মতে, প্রবাস জীবনে কঠিন পরিশ্রম আর সততার পাশাপাশি সক্ষমতা থাকতে হবে স্থানীয়দের সাথে মিশে যাবার। কৌশলটা ভারতীয়দের দখলে। তবে দেরিতে হলেও আয়ত্ব করেছে বাংলাদেশিরাও।