পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য নিউজ জানিয়েছে, পররাষ্ট্র বিষয়ক আইনে তাদের সবাইকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
এর মধ্যে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের মালির কারাগার থেকে মুক্ত আটজন বাংলাদেশি নাগরিক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আগামীকাল দেশে ফিরবেন। এই আট প্রবাসী কর্মী বৈধভাবে ওমানের একটি ফিশিং বোটে কর্মরত ছিলেন।
২০১৯ সালের মে মাসে ওমান সংলগ্ন আরব সাগরে মাছ ধরার সময় তাদের ফিশিং বোট স্রোতের টানে পাকিস্তানের জলসীমায় ঢুকে পড়লে পাকিস্তানি কোস্টগার্ড তাদের আটক করে।
বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেছে পাকিস্তান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা।
পাকিস্তান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি জানিয়েছে, আইওএম ১৬ জনকে ফিরতে সাহায্য করছে। এই ১৬ জন ফিরবেন বুধবার। প্রতিজনের পেছনে খরচ হবে ২৫০ ডলার করে।
বাকিদের টিকিটের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ সরকার। তারা আসবেন বৃহস্পতিবার।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পাকিস্তানে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া দীর্ঘ প্রায় ৮ বছর পর গত ২৫ নভেম্বর শুরু হয়। সম্প্রতি পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিককে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।