রংপুর নগরীর কোর্টপাড়া এলাকায় হাসান আলী নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি থেকে প্রতিবন্ধী রিকশাচালক নাজমুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় কনস্টেবল হাসান ও তার স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর কোর্টপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বুধবার দুপুরে কনস্টেবল হাসানের বাড়ির জানালা দিয়ে প্রতিবন্ধী নাজমুলের মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদেরও স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়তে হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রিকশা চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে হত্যার পর আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে হাসান আলী। এ বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার শহীদুল্লাহ কাউসার।
স্থানীয়রা জানান, শারীরিক প্রতিবন্ধী নাজমুলের পায়ে সমস্যা থাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা ভাড়ায় চালাতেন। ওই রিকশাটি ছিলো রনবগপুর ট্রেনিং সেন্টারে কর্মরত হাসান আলীর। গতকাল ওই রিকশা নিয়ে কনস্টেবল হাসান আলীর সঙ্গে রিকশাচালজ নাজমুলের কথা কাটাকাটি হয়।
এদিকে, দোষী ও পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে স্থানীয়রা।