টেকনাফের খারাংখালী সীমান্ত হতে বিজিবি জওয়ানেরা অভিযান চালিয়ে ৬০হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে। স্থানীয় শামসুদ্দিনের নেতৃত্বে দিনের পর দিন বেপরোয়া হয়ে উঠা মাদক সিন্ডিকেটকে থামাবে কে বলে প্রশ্ন উঠেছে।
গত ৩ জানুয়ারী রাত সাড়ে ৮টারদিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারাংখালী বিওপির বিশেষ টহল মিয়ানমার হতে মাদকের চালান আসার সংবাদ পেয়ে ক্যাম্পের উত্তর-পূর্ব পাশে বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লবণ মাঠে কৌশলী অবস্থান নেয়। কিছুক্ষণ পর দুস্কৃতকারী এক ব্যক্তি ১টি বস্তা কাঁধে নিয়ে বেড়িবাঁধ অতিক্রম করে লবণ মাঠ দিয়ে গ্রামের দিকে আসার পথে বিজিবির উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্র বস্তাটি ফেলে দৌঁড়ে কেওড়া বাগানে লুকিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল হতে বস্তাটি জব্দ করে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে আটকের জন্য দীর্ঘক্ষণ অভিযান চালিয়েও পাওয়া যায়নি। পরে বস্তাটি ব্যাটালিয়ন সদরে নিয়ে গণনা করে ১কোটি ৮০লক্ষ টাকা মূল্যমানের ৬০হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান (পিএসসি) জানান, জব্দকৃত এসব মাদক পরবর্তীতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, মাদকদ্রকব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও মিডিয়া কর্মীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে ধ্বংস করার জন্য ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে।
এদিকে উক্ত এলাকার স্থানীয় একাধিক সুত্র জানায়,গতরাতে পশ্চিম মহেশখালীয়া পাড়ার চিহ্নিত ইয়াবা গডফাদার শামসুদ্দিন সিন্ডিকেট মাদকের চালান খালাস করেছে। যা নিয়ে এলাকায় হৈ চৈ ও আলোচনা চলছে। স্থানীয় শামসুদ্দিন, আমির হোছন, রফিক, অলি আহমদ, মেজর, জালাল উদ্দিনসহ বেশ কয়েক জনের নেতৃত্বে কয়েকটি সিন্ডিকেট এখন মাদক চোরাচালানে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ। তাদের মওজুদকৃত ইয়াবার চালান বিক্রি করতে এলাকায় খুচরা ইয়াবা বিক্রেতার সংখ্যাও বেড়েছে ; যাদের কারণে এলাকার মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেনা বলে ক্ষোভের সুরে জানান। ###