এম ফেরদৌস ( উখিয়া কক্সবাজার)
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় গরিব দুস্তদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা স্বরুপ নিত্যাপ্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের অংশ হিসাবে কক্সবাজারের উখিয়ায় ইনানী সি বীচ এলাকার কর্মহীন ফটোগ্রাফার, বীচবাইক চালক, ভাসমান ব্যবসায়ীসহ ২০০শত জনের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন কক্সবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
শনিবার (১০ জুলাই) ১১ টার সময় ইনানী মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন হ্যালিপ্যাড মাঠে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) মো.নাসিম আহমেদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা স্বরুপ কর্মহীন হয়ে পড়া ২০০ জন ফটোগ্রাফার, বীচ বাইক চালক ও ভাসমান ব্যবসায়ীদের মাঝে এসব ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন উখিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ,সহকারী কমিশনার(ভুমি),প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল মামুন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
এ ত্রাণ সামগ্রী পেয়ে মহা খুশিতে ফটোগ্রাফার সাইমুন বলেন, জীবনের প্রথবার কর্মহীন অবস্থায় সরকারের দেওয়া এ ত্রাণ পেয়েছি। ধন্যবাদ ও চির কৃতজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীসহ কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ, যারা আমাদের এই ক্ষুদ্র গরিবের খোজ নিয়েছেন।
বীচবাইক চালক নুরুল আমিন বলেন, এই লকডাউনে আমাদের দুমুঠো খাবার যোগাড় করা অনেক কঠিন অবস্থা ছিল আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পেয়ে অন্তত কয়েকদিন সুন্দর করে চলতে পারব।
পর্যটক নির্ভর ভাসমান ব্যবসায়ী হামিদুল হক বলেন, আমাদের ব্যবসা মূলক পর্যকের উপর নির্ভর করে। পর্যটন কেন্দ্র খোলা থাকলে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে সুন্দর করে দু বেলা ভাত জুটে। কিন্তু গত ২ বছর যাবত করোনার কারণে আমাদের আর্থিক অবস্থা অনেক খারাপ। চলপেরাসহ খাবার যোগাড় করতে অনেক কষ্ট হয়ে যায় কেউ আমাদের খবর রাখে নাই, আজ প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা কিছু ত্রাণ সামগ্রী আমাদের হাতে তুলে দিলেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদের প্রতি অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, করোনা মহামারী বৃদ্ধিতে সরকার ঘোষিত এই কঠোর লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া পর্যটন নির্ভর ফটোগ্রাফার, বীচ বাইক চালক ও ভাসমান দোকানদারদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তার অংশ বিশেষ নিত্যাপ্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী তাদের পরিবারে কিছুটা হলেও অর্থ যোগান হিসাবে পৌছে দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন,করোনা সংক্রমণ এড়াতে এই লকডাউন বাস্তবায়নে সরকার যেমন কঠোর হয়েছেন অন্যদিকে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে যাচ্ছেন। প্রত্যেকে জেলা উপজেলায় কর্মহীন হয়ে পড়া সকল শ্রেণিপেশার মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। তার ধারাবাহিতাকতায় কক্সবাজারের যেসব মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে তাদের সবাইর মাঝেও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক অসহায় দুস্তদের মাঝে এ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হবে।