বিশেষ অনুসন্ধানঃ কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা উখিয়ার ক্রাইম জ্যোন পালংখালী ইউনিয়ন সহ রোহিঙ্গা শিবির ভিত্তিক চিহ্নিত আন্ডার গ্রাউন্ডের ইয়াবা গডফাদাররা অধরা।
সীমান্তে প্রায় দু শতাধিক ইয়াবা, কালোবাজারি, ধর্ষক, মার্ডার, চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা পুলিশ, বিজিবি ও র্যাবের
সাথে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়। সরকার ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কঠোর ছিল আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিনহা হত্যার পর মাদকবিরোধী অভিযান কিছুটা থমকে গেলে, সুযোগ পুনরায় কাজে লাগাতে শুরু করে রোহিঙ্গা শিবির ভিত্তিক গা ঢাকা দেওয়া নতুন পুরাতন ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।
অনুসন্ধানে উঠে আসে, উখিয়ার সীমান্ত ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক শীর্ষ ইয়াবা হুন্ডি কারবারি বালুখালীর ওসমান ড্রাইবার একই এলাকার আজম উল্লার পুত্র সোনামিয়া, বালুখালী ক্যাম্পের আবু বক্কর মাস্টার, পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী ১ নং ওয়ার্ডের পুতুর পুত্র ফরিদ, পালংখালী বটতলী এলাকার জাবু, বালুখালী শিয়ালিয়া পাড়ার ইয়াকুব আলীর পুত্র আবদুর রহিম, বালুখালী এলাকার আবদুর করিমের পুত্র হামিদুল হক, একই এলাকার বাপ্পি সহ শীর্ষ ইয়াবা কারবারি পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
সদ্য উখিয়ার ক্রাইম স্পষ্ট সীমান্তের শীর্ষ ডাকাত লুতু বন্দুক যুদ্ধে নিহত হলে উল্লেখিত ইয়াবা কারবারিরা আতংকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন করেছে বলে জানাগেছে। অন্য দিকে সম্প্রতি উখিয়ার বালুখালী থেকে ব্যাংক কর্মী হামিদ হোসেন ২০ লক্ষ টাকা সহ রোহিঙ্গা কতৃক অপহরণের নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে পুলিশ ব্যাংক কর্মী হামিদ ও তার পিতা খাইরুল আলমকে আটক করে। কিন্তু পুলিশি উদ্ধার করা সে ২০ লক্ষ টাকা আসলে কার তা ঘটনার মাস পার হলেও রহস্যজনক রয়ে গেছে। তবে লোকমুখে শুনা যাচ্ছে নাটকীয়তার সে ২০ লক্ষ টাকা সীমান্তের চিহ্নিত ইয়াবা ব্যাবসায়ী ওসমান ড্রাইবার ও সোনামিয়ার সিন্ডিকেটের।
এসব অপরাধীরা সুযোগ বোঝে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নিরবে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে ইয়াবা।
ওসমান ড্রাইবার ও সোনামিয়ার রয়েছে রোহিঙ্গা সহ ১৫/২০ সদস্যের সক্রিয় একটি বাহিনী। পালংখালী এবং বালুখালী সীমান্ত এলাকা ও রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চল হওয়ায় সহজে মায়ানমার ভিত্তিক ইয়াবা গডফাদারদের সাথে প্রতিনিয়ত সখ্যতা গড়ে তুলেছে অপরাধীরা।
আমাদের অনুসন্ধানে আরো উঠে আসে, মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষে বালুখালী ক্যাম্প ও কুতুপালং আশ্রিত রোহিঙ্গা শিবির অবস্থিত হওয়ায় সহজে পারাপার হয় মরণ নেশা ইয়াবা সহ চোরাচালান। সে সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা শিবির ভিত্তিক ইয়াবা চক্রের সাথে আঁতাত করে ইয়াবার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে সোনামিয়া, ওসমান ড্রাইবার, হামিদুল হক, জাবু, ফরিদ, আবু বক্কর মাস্টার, আবদুল করিম ও বাপ্পির সিন্ডিকেট।
কাজেই সরকারের মাদকবিরোধী ফের অভিযানে নড়েচড়ে বসেছে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারিরা। রোহিঙ্গা শিবির ভিত্তিক ইয়াবার বৃহত্তর নেটওয়ার্ক গড়ে তুলা এ সকল ইয়াবা কারবারিদের গ্রেপ্তারে বেরিয়ে আসবে ইয়াবার নতুন অজানা আরো তথ্য বলে জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।