একটি সশস্ত্র গ্রুপের সন্ত্রাসী হামলায় আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় দেশ বুরকিনা ফাসোয় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
বুরকিনা ফাসোতে হামলা চালিয়ে ৩০ জনকে হত্যা
একটি সশস্ত্র গ্রুপের সন্ত্রাসী হামলায় আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় দেশ বুরকিনা ফাসোয় কমপক্ষে ৩০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বুরকিনা ফাসোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতির বরাতে আল জাজিরা জানায়, বুধবার (৪ আগস্ট) দুপুরের দিকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা বুরকিনা ফাসোর মারকোয়ে শহরের কাছে কয়েকটি গ্রামে হামলা করে। পরে বিকেলের দিকে সেসব এলাকায় অভিযান শুরু করে নিরাপত্তা বাহিনী। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময়সহ সংঘর্ষ শুরু হয়।
আলা জাজিরা জানায়, সংঘর্ষে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক, ১৫ জন সরকারি সেনা এবং সরকার সমর্থিত বেসামরিক মিলিশিয়া বাহিনীর ৪ জন সদস্য সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হয়েছে। অন্যদিকে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর পাল্টা হামলায় ১০ হামলাকারীও নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষের সময় হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি গবাদিপশু চুরি ও গ্রামবাসীদের বাড়ি-ঘরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বুরকিনা ফাসোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, হামলাকারীদের দখল করা জায়গাগুলোতে আবারো সরকারি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। এবং হামলাকারীদের শনাক্ত ও দমন করতে সড়ক ও আকাশপথে পাল্টা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এদিকে কারা এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। কোন পক্ষ এখনো হামলার দায় স্বীকার করেনি।
এর আগে চলতি বছরের ৪ জুন বুরকিনা ফাসোর উত্তরাঞ্চলে একটি গ্রামে সশস্ত্র ব্যক্তিরা হামলা চালিয়ে অন্তত ১৩২ জনকে হত্যা করে। সে সময় দেশটির সরকার জানিয়েছিল, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। সোলহান গ্রামে ওই হামলার সময় স্থানীয় বাড়িঘর এবং বাজারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়।
হামলা চালিয়ে নিরীহ গ্রামবাসীকে হত্যার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছিলেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানায়, বুরকিনা ফাসোর প্রতিবেশী দেশগুলোয় সশস্ত্র গ্রুপগুলো হামলা আর অপহরণের ঘটনায় দেশটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
জঙ্গি হামলার জবাব দিতে গত মে মাসে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী বড় আকারের একটি অভিযান শুরু করে। তা সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সহিংসতা ঠেকাতে হিমশিম খাচ্ছে। সহিংসতা এবং সংঘর্ষে গত দুই বছরে বুরকিনা ফাসোর ১০ লাখের বেশি মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়েছেন।