নিজস্ব প্রতিবেদক ::
কক্সবাজারে বনভূমি দখলদারদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ জিরোটলারেন্স ঘোষনা দিলেও মাঠপর্যায়ে এ ঘোষনা তেমন কার্যকর হচ্ছে না। বনকর্তাদের গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাত করে বনভূমি দখলের সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্হানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ।
অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের মেহেরঘোনা রেঞ্জের আওতাধীন ভারুয়াখালী ও রশিদনগরে নিত্যনতুন পদ্ধতিতে বনের জমি জবর দখল হচ্ছে।কোথাও কোথাও বনভূমি কেটে সমতল করে পাকা দালান থেকে শুরু করে পোলট্রি ফার্ম ও নানা স্হাপনা গড়াসহ বনভূমির প্রায় সিংহ ভাগ জায়গায় দখলবাজরা নিয়মিত পাহাড় কেটে পাকা ঘর নির্মাণ ও পাহাড়ি বালু অবৈধভাবে বিক্রি করছে।
সূত্র জানায়,বালু সিন্ডিকেট ও দখলবাজ চক্র এখন বনভূমি দখলের মহোৎসব চালাচ্ছে ।দীর্ঘ সময় ধরে মেহেরঘোনা রেঞ্জ এলাকায় একটি প্রভাবশালী দখলবাজ চক্র বনভূমি দখল করে তা লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে বিক্রি করেছে দেদারচ্ছে।বন প্রহরীরা টহলে গিয়ে দখলের এ প্রক্রিয়া দেখেও নিরব ভূমিকায় রয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ধলিরছরা বিটের আওতাধীন রশিদনগর ৯ নং ওয়ার্ডের উল্টাখালীর ফকিরাকবর এলাকায় বনবিভাগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মোস্তাক আহমদ এর ছেলে প্রবাসী হারুন পাহাড় কেটে বিশাল আকারে বনভূমি দখলে নিয়ে সেখানে পাকা ডুপ্লেক্স ভবন নির্মাণের দুঃসাহস দেখিয়েছে।
বনবিভাগের ঐ ভবন নির্মাণ করতে গিয়ে তারা সরকারি বনভূমির গাছ ও পাহাড় কেটে যথেষ্ট ক্ষতি ডেকে এনেছে বলে স্হানীয়দের অভিযোগ।
এ প্রসঙ্গে ধলিরছরা বিট কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহিম জানান,
অচিরেই সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি দেখে বন বিভাগের জায়গা থেকে বাড়িটি উচ্ছেদ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।