এম ফেরদৌস ( উখিয়া কক্সবাজার)::
উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নে ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমকক্ষে সোসাইটি ফর হেলথ এক্সটেনশন এন্ড ডেভেলপমেন্ট ( শেড) এর উদ্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সচেতেন নাগরিকদের নিয়ে শান্তি,সুরক্ষা এবং সামাজিক সম্প্রীতি বিষয়ক সংবেদনশীলকরণ কর্মশালা প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার( ১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটের দিকে ভালুকিয়া পালং উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়।
মনিটরিং ইভালুয়েশন এন্ড টেকনিক্যাল অফিসার নিরঞ্জন চদ্র দে,’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শেড’র প্রজেক্ট ম্যানেজার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ম্যানেজার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক সমাজ ও সচেতন মান্যগণ্য ব্যাক্তিবর্গরা।
শান্তি,সুরক্ষা,এবং সামাজিক সম্প্রীতি নিয়ে জনপ্রতিনিধি ও সচেতন মান্যগণ্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে প্রতিটি সমাজে এ সমস্যা নিরসনের জন্য ব্যাপক আলোচনা করেন প্রশিক্ষক কর্মকর্তারা।
এসময় উপস্থিত সবাইর উদ্যেশ্যে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে উগ্রবাদ ও সহিংসতা একটি ক্রম বর্ধমান চিন্তার বিষয় যা ছড়িয়ে গেলে সর্ব সাধারণের নিরাপত্তা, জীবন জীবিকা,অর্থনৈতিক অগ্রগতি এমন কি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের এগিয়ে চলার পথ কঠিন হবে। দেশের প্রতিটি সচেতন জনগন বিশ্বাস করে যে সামাজিক সম্প্রীতি এবং সহনশীলতার আবহমান বাংলাদেশী মূল্যাবোধ হচ্ছে অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎতের সবচেয়ে বড় ভিত্তি। আমরা যে কোন উগ্রবাদ ও সহিংসতার ঘটনা আর দেখতে চাই না। এ ধরণের উগ্রবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে ব্যাপক গনসচেতনা ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
তরুণরায় যারা উগ্রবাদ ও সহিংসতার সাথে জড়িত তারা সংখ্যায় অত্যান্ত নগন্য বললেই চলে। বাস্তবে বেশিরভাগ তরুণই ভাল কাজে তাদের সময় এবং শক্তি খরচ করতে আগ্রহী। দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে শান্তির পক্ষে কিংবা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে বেশির ভাগ তরুণরায় অবদান রাখছে এবং আগ্রহী। দেশকে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে বিশ্বের কাছে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরার জন্য তরুণদের অবদানই বেশি তরুণদের এই উন্নয়ন অংশীদারীত্ব দেশকে আরোও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।