দুটি বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছে গ্যাস বিক্রি করে ফেঁসে গেছে তিতাস। ১৩১৬ কোটি টাকার বকেয়া আদায় করতে গিয়ে উল্টো মামলায় জড়িয়ে গেছে এই সরকারি প্রতিষ্ঠান।
এখন গ্যাস বিল আদায় করতে গিয়ে মামলা জট ছাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে জ্বালানি বিভাগ।
জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, এভারেজ পাওয়ার এবং ইউনাইটেড পাওয়ারের কাছে ১৩১৬ কোটি টাকার বকেয়া জমেছে। যা আদায় করতে পারছে না বিতরণ কোম্পানিটি।
সম্প্রতি সরকারি কোম্পানির বকেয়া আদায় সংক্রান্ত এক বৈঠকে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লা বিষয়টি সামনে আনেন।
তিনি বলেন, বাণিজ্যিক হলেও ওই দুটি কেন্দ্র সাধারণ বিদ্যুৎকেন্দ্রের সমান দর পরিশোধ করতে চাচ্ছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। কিন্তু বাণিজ্যিক শ্রেণিতে (ক্যাপটিভ পাওয়ার) কেউ উৎপাদন করলে তাকে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসে ১৩ দশমিক ৮৫ টাকা করে পরিশোধ করতে হয়।
জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন বৈঠকে বলেন, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে বকেয়া আদায়ের উদ্যোগ নিতে হবে।
জ্বালানি বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, কেউ বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য গ্যাস নিলে তাকে সাধারণ দামে গ্যাস দেওয়া ঠিক নয়। এই সুবিধা একজনকে দিলে বাকিরাও চাইবে। সেক্ষেত্রে সরকারের হাজার কোটি টাকা লোকসান হবে।
তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্রে কম দামে গ্যাস দেওয়ার একটি উদ্দেশ্য আছে। সরকার এর মধ্য দিয়ে শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান বাড়াতে চায়। কিন্তু কেউ সেই দামে গ্যাস নিয়েতো ব্যবসা করতে পারে না।
এ গন্ডোগোলের কারণে শহর ও বিভিন্ন গ্রামগঞ্জে তীব্র লোডশেডিং দেখা দিয়েছে। সামাধাণ নিষ্পত্তি হলেই বিদ্যুৎ বিভাগ লোডশেডিং কমাতে পারে বলে মন্তব্য করেন সচেতনমহল।
এদিকে তীব্র লোডশেডিং হওয়ায় মানুষ ক্ষোভ করে পল্লীবিদ্যুত কর্মকর্তাদের বিভিন্ন কটুক্তিমূলক কথা বার্তা বললে বিদ্যুৎ কর্মকর্তারা গণমাধ্যমকে জানায়, দেশে পর্যাপ্ত পরিমান গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। এতে দেশের গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গুলোতে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিয়েছে।