বিশেষ প্রতিবেদন :: কক্সবাজারের উখিয়ায় নব্বই দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা ও আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ কারানির্যাতিত গোপাল বড়ুয়াকে রত্নাপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর তালিকা থেকে উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে বাদ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কদিন ধরে ব্যাপক সমালোচনার চলছে।
একাধিক প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা বলেছেন, গোপাল নষ্ট রাজনীতির শিকার। মুজিব আদর্শের নিবেদিত কর্মী গোপালকে নিজেদের বলয়ে ভেড়াতে না পারার ভয়েই তাকে কাউন্সিলর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
গোপাল বড়ুয়াকে কাউন্সিলর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার খবর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়লে তৎকালীন ছাত্রনেতা ও ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে ব্যাপক সমালোচনা করেন।
উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদ উখিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাহবুবুল আলম মাহবুব লিখেছেন “তুমি একা নও, হতাশ হইওনা। প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদ উখিয়া উপজেলা শাখা তোমার পাশে আছে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
উখিয়া উপজেলা কৃষকলীগের সদ্য বিদায়ী সভাপতি সোলতান মাহমুদ চৌধুরী লিখেছেন, গোপাল বড়ুয়া দুর্দিনের ছাত্রলীগের এক সাহসী নাম, আওয়ামী রাজনীতির ইতিহাসের অংশ। আওয়ামী রাজনীতিতে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা – একটি সিন্ডিকেট, তাদের নেতৃত্ব ধরে রাখতে বিভিন্ন ইউনিয়নে গোপালের মতো ত্যাগীদের বাদ দেওয়ার অপকৌশল করে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উখিয়া-টেকনাফ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক টিম প্রধান রাজা শাহ আলম চৌধুরী ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডঃ ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী/সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমানের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদ উখিয়া শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সোহেল উদ্দিন লিখেছেন,
নব্বই দশকের তুখোড় ছাত্রনেতা, প্রাক্তন ছাত্রলীগ পরিষদ উখিয়া উপজেলা শাখার সহ-সভাপতি বাবু গোপাল বড়ুয়াকে কোন অদৃশ্য চাপে রত্নাপালং আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল? যে ওয়ার্ডে গোপাল বড়ুয়াকে অসম্মানিত করা হল, সেই ওয়ার্ডের তালিকা স্থগিত রাখা হউক। গোপাল বড়ুয়ার মত ত্যাগিরা তালিকায় স্থান না পেলে সেই কাউন্সিল কখনো পূর্ণতা লাভ করবে না। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক টিম লিডার সৎ ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতির মূর্ত প্রতীক রাজা শাহ আলম চৌধুরীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে গত শুক্রবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গোপাল বড়ুয়া জানান, তিনি ১৯৯০ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হলেও ৯২ সালে কক্সবাজার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরে উখিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক, উখিয়া উপজেলা ছাত্রলীগে প্রচার সম্পাদক ও সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় তিনি রাজনৈতিক কারণে ৬ মামলা শিকারসহ গ্রেফতার হয়েছিলো। এরপরও মুজিব আদর্শ থেকে পিছু হটেনি।
তিনি আরো বলেন, গতবারের ইউপি নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ড থেকে মেম্বার পদে নির্বাচন করে ৪৫০ ভোট পেয়ে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সামান্য ভোটে হেরেছি। অথচ সেই ওয়ার্ড থেকে ১৫০ জনের কাউন্সিলর তালিকায় পর্যন্ত আমাকে রাখেনি।